খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অনলাইন ডেক্স প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে চাই : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মাসে নেয়া নানা উদ্যোগ ও আগামী দিনের কর্মপরিকল্পনাসহ নানা বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস কথা বলেছেন ডয়চে ভেলেকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে৷ তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে চাই।

সাক্ষাৎকারে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী বলা যায়৷ কারণ, চারদিক থেকেই ভারত আমাদের আছে৷ কাজেই তার সাথে আমাদের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক হওয়া উচিত এবং হবে৷ এ ছাড়া আমদের গত্যন্তর নাই, তাদেরও গত্যন্তর নাই৷

এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমার তো অগ্রাধিকার দেবার কথা না। অগ্রাধিকারগুলো সামনে এসে গেছে। আমি বাছাই করার সুযোগও পাইনি। শান্তি-শৃঙ্খলা হলো সবার প্রথমে। যেহেতু বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা আসছি, সরকার গঠন করেছি, কাজেই প্রথম দায়িত্ব হলো শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এটার উপরেই জোর দেয়া হচ্ছে। এরকম বিপ্লব বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে হয় নাই। ছাত্রদের সঙ্গে সাধারণ জনগণ এগিয়ে এসেছে। এমন কোনো লোক ছিল না যে এটাতে শরিক মনে করে নাই। জনমত নির্বিশেষে এই আন্দোলনে শরিক হয়েছে। আমরা একটা বিরাট দায়িত্ব নিয়ে আসছি। এদিকে হলো বিপ্লব আর এদিকে স্বপ্ন। শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়বো। মানুষের সীমাহীন আকাঙ্ক্ষা। আমাদের দায়িত্ব অনেক। অর্থনীতি একটা বিশৃঙ্খল, ভঙ্গুর অর্থনীতি হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে মানুষ এত বিক্ষুব্ধ। সব কিছু লুটপাট। এটা লুটের একটা সরকার ছিল। কাজেই সেই লুটের সরকার থেকে সত্যিকার সরকার, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা- এটাও মানুষের একটা আকাঙ্ক্ষা। এবং এটা দ্রুত দেখতে চায়। সেগুলো আমাদের করার চেষ্টা। এক মাসের মধ্যে আমাদের যতটুকু সম্ভব করেছি।

রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি সংবিধান পুর্নলিখনের দাবিও উঠেছে৷ বলা হচ্ছে সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা মস্ত বড় সুযোগ। এই সুযোগ জাতির জীবনে আর আসবে কিনা জানি না। না আসাটাই স্বাভাবিক হোক। গোড়াতে হাত দিতে হবে, সংবিধানে হাত দিতে হবে। তো সেখানে প্রশ্ন হচ্ছে- সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে, নাকি এই সংবিধানই কিছু সংশোধন করা হবে? এ বিষয়ে মতভেদ আছে। এইজন্য কমিশন হবে, বিচার বিবেচনা করবে, একমত হবে। এর উপর ভিত্তি করে নির্বাচন হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত তো আমরা নির্বাচনের রূপরেখা ঠিক করতে পারছি না। কী ধরনের নির্বাচন হবে, কী কী নির্বাচন হবে- সবকিছুই সংবিধানের ভিতরে থাকবে। পুরো আন্দোলনের ব্র্যান্ড নেইম হচ্ছে সংস্কার। সংস্কার হচ্ছে আকাঙ্ক্ষা। আমরা সেই আকাঙ্ক্ষার অংশীদার। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি যেন আমরা সেই আকাঙ্ক্ষা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পূরণ করতে পারি।

ব্যবসা এবং অর্থনীতিকে পুনরায় সন্তোষজনক অবস্থানে ফিরিয়ে নেয়ার পথে কী কী বাধা দেখছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, লুটপাটের একটা অর্থনীতি। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল নিজের টাকা -পয়সা করার আগ্রহ। ৬০ হাজার কোটি টাকা শুধু ছাপানো হয়েছে তাদের সুবিধার জন্য। কিন্তু মানুষের যে মূল্যস্ফীতি হবে- এটার দিকে তাদের কোনো মনোযোগ ছিল না। ব্যাংকিং সিস্টেম পুরোটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলতে কোনো জিনিস ছিল না। এগুলো সমস্ত কিছু নতুন করে গড়ে তুলতে হচ্ছে। সব কিছু নতুন করে করতে হচ্ছে। দেশকে বাঁচাতে হলে, সামনে নিয়ে যেতে হলে করতে হবে। আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য ভিত্তিটা করতে হবে। কিছুটা শৃঙ্খলা এসেছে। সবটা পেরে গেছি তা না। বৈদেশিক মুদ্রার অভাব আছে। বড় বড় প্রকল্প নেয়া হয়েছে। বিশাল বিশাল অংকের ঋণ নেয়া হয়েছে,সেগুলো শোধ করার পালা এসেছে আমাদের উপরে। উনারা নিয়ে গেছেন, ভোগ দখল করেছেন। এখন টাকাটা জনগণকে শোধ করতে হবে। সেই পরিশোধের টাকা কোথা থেকে আসবে, কিভাবে আসবে এই চিন্তা আমাদের বড় চিন্তা। আমরা পৃথিবীর সামনে এমন একটা রাষ্ট্র হতে চাই না যে তার অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারে না। আমরা অঙ্গীকার রক্ষা করতে চাই। অর্থনীতিকে মজবুত ভিত্তির উপরে দাঁড় করাতে চাই, যেন ভবিষ্যতে এই পরিস্থিতি না হয়।

ছাত্রদের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে নাগরিক অধিকার, মানুষের নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার, পুলিশের সেবা পাওয়ার অধিকার এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত করা যায়নি বলে নানা মহল থেকে দাবি করা হয়েছে৷ এবিষয়ে তার মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, চেষ্টা করছি আমরা, কিন্তু পুরোপুরি হয়নি। অনেক লোক পালিয়ে গেছে, যারা জনপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছিল। অথবা যারা আছে, তাদের সহকর্মীরা তাদের উপর ভয়ানক বিক্ষুব্ধ। বিক্ষোভের মুখে তারা পদত্যাগ করে চলে গেছেন। কাজেই এক বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। জনপ্রশাসনে এই শূন্যতা পূরণ আবার মুশকিল। এরে দিলেন ওরে কেন দিলেন না ইত্যাদি ইত্যাদি প্রশ্ন উঠছে । তো এর মধ্য থেকেই আমরা মানুষকে বোঝাচ্ছি, দেখো, আমদের বিবেচনায় যেটা সঠিক সেটাই আমরা করছি। আমরা করি একটা, আমাদের উপর আস্থা রাখেন। বহু পরিবর্তন হয়েছে। প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হয়েছে। সব ভিসিই চলে গেছেন। ভিসি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, সাথে প্রোভিসি দিতে হচ্ছে। এবং এই নিয়োগে সবাই খুশি। আবার নতুন করে বিচার ব্যবস্থা চালু হবে। অনেকগুলো পরিবর্তন আমাদের একসাথে করতে হচ্ছে। অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে এক হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ এসব হত্যাকাণ্ডের বিচারে আপনার সরকারের তরফ থেকে এখন অবধি নেয়া পদক্ষেপে আপনি কি সন্তুষ্ট? এমন প্রশ্নে তিনি সরাসরি বলেন, না। বলেন, এখনো সন্তুষ্ট হওয়ার সময় আসে নাই তো। আমাদের প্রথম দৃষ্টি হচ্ছে তালিকা করা, যেটার কথা আপনি বললেন। আমরা প্রত্যেকের তথ্য নিয়ে ড্যাটাবেজ তৈরি করছি। আমাদের ভয় হলো, আমরা যদি এটা না করি কিছুদিনের মধ্যে ভুয়া শহিদ ইত্যাদি শুরু হয়ে যাবে। কাজেই এটা থেকে আমরা বাঁচতে চাই। আমরা ওয়াদা করেছি, প্রত্যেকটা শহিদ পরিবারের দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করবো। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা গ্রহণ করবো। কাজেই এটার সংখ্যা নির্দিষ্ট হয়ে যেতে হবে। যেন এক বছর পরে কেউ এসে না বলতে পারে যে, আমার পরিবার শহীদের পরিবার। আমরা খুঁজে খুঁজে বের করছি। আমরা একটা ফাউন্ডেশন করেছি। একটা স্থায়ী ফাউন্ডেশন তাদের পরিবারকে দেখাশোনা করার জন্য। যারা বেঁচে আছে তাদেরকে মিলিয়ে আমরা কর্মসূচি নিচ্ছি।

সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে রাজপথে নানা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও দেখা গেছে গত কয়েক সপ্তাহে৷ এক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধান কী হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? এমন প্রশ্নে বলেন, এটা বাংলাদেশের একক সমস্যা না। সব দেশেই সংখ্যালঘু নিয়ে সমস্যা হয়। অ্যামেরিকাতেও সংখ্যালঘু নিয়ে সমস্যা আছে। সরকারের দায়িত্ব এটা না হওয়া। সংবিধানের অধিকার সবার প্রাপ্য। আমরা তো হিন্দুর প্রাপ্য, মুসলমানের প্রাপ্য কি বৌদ্ধর প্রাপ্য এরকম করে ভাগ করে দেই নাই। সরকারের দায়িত্ব হলো এই অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করা। এই অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা হলেই আর ধর্মীয় বিভাজনের প্রশ্ন উঠবে না। যতদিন প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে, ততদিন আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। তবে আমি বলবো যে, যেই পরিমাণ প্রচার হচ্ছে সেই পরিমাণ আমাদের দৃষ্টিতে আসছে না। আমরা বারে বারে খোঁজ-খবর নিচ্ছি। কিন্তু মনে হচ্ছে না যে অত বড় কিছু আসলে হচ্ছে। অনেকে এটা রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করছে। যেটুকু হচ্ছে সেটা যেন না হয়, শূন্যের কোঠায় পৌছায় সেদিকে আমরা যাবো।

ভারতের শক্তিশালী মিত্র’ হিসেবে পরিচিত শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্কে এক ধরনের টানাপোড়েন দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি কোন বিষয়গুলোকে বিবেচনায় নিচ্ছেন? এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী এবং আমাদের একমাত্র প্রতিবেশী বলা যায়। কারণ, চারদিক থেকেই ভারত আমাদের আছে । কাজেই তার সাথে আমাদের সবচেয়ে ভালো সম্পর্ক হওয়া উচিত এবং হবে। এ ছাড়া আমদের গত্যন্তর নাই, তাদেরও গত্যন্তর নাই। দুই দেশের মধ্যে বৈরি সম্পর্ক রেখে কেউ লাভবান হবে না। আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা হবে সবচেয়ে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। বন্ধুত্বের শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া- এটাই আমাদের উদ্যোগ। পানিবন্টন চুক্তি নিয়ে আন্তর্জাতিক আইন আছে। দুই দেশের মধ্যকার চলমান বিরোধ নিরসনে দুই দেশ আন্তর্জাতিক আইন মেনে নিলেই সেটার সমাধান হবে। সার্ক একটা পরিবারের মতো ছিল। আমরা সেই কাঠামোতে ফিরে যেতে পারি কিনা দেখবো। শুধু ভারতের সাথে না, দক্ষিণ এশিয়ায় যত দেশ আছে, সবাই যেন পরস্পরের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজার রাখে। শান্তিপূর্ণ জোন হিসেবে আমরা একে গড়তে চাই। বাধা-বিপত্তি এড়িয়ে সার্ক ও বিমসটেক-কে সক্রিয় করার করার চেষ্টা করবো।

কিছু পদে নতুন যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, সেখানে কোনো কোনোক্ষেত্রে বিভিন্ন রাজনৈতিক পরিচয়ে পরিচিতরা প্রাধান্য পাচ্ছেন৷ এ ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এটা উল্টোভাবে দেখতে পারেন। যেহেতু উনি সিভিল সার্ভিসে আছেন, উনি একটা পোস্টিং পাবেন। দল ছাড়া কেউ কিছু এখানে করতে পারতো না। আমাদের চেষ্টা করতে হবে দল যেন না আসে। এ দলেও নাই , ওই দলেও নাই এমন কাউকে বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনভাবে চলতে হবে যেন দলটা যেন ভারী না হয়ে যায়। আমাদের যেহেতু নিজেদের দল নাই, আমরা নির্দলীয়ভাবে দেখতে পারি।

বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন কবে নাগাদ অনুষ্ঠিত হতে পারে? সেই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী? এমন প্রশ্নে ড. ইউনূস বলেন, আমি পুরোপুরি আশাবাদী। এটা না হলে তো এই সরকারের অর্থই হবে না। নির্বাচন করতে হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। তখন মনে করতে পারবো যে, আমাদের এই সময়টা সার্থক হয়েছে। সেটার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি লাগে, আইন লাগে। সংবিধান হলে নির্বাচনি আইন, নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। তাদের মতামত পাবো। এই সরকারের বড় জিনিস হলো সংস্কার। এই সংস্কারটা সম্পন্ন করতে হবে। এই সুযোগ আর জীবনে ফিরে আসবে না। আমাদের সব কিছু কলাপ্স করে গেল- এমন যেন না হয়। হঠাৎ করেই সবকিছু জিরোতে গিয়ে পৌছবে না। পুরাতন বাংলাদেশ ইতি। এটা নতুন বাংলাদেশ, আমরা নতুন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জেগে উঠবো।

কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত

শাকিল হোসেন | কালিয়াকৈর, গাজীপুর
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত

গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বুধবার বিকেলে পৌরসভার গোয়ালবাথান সুফিয়া মডেল হাইস্কুল মাঠে ৩নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আলহাজ্ব উদ্দিন যুবরাজ।

পৌর ৩নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি মোঃ ইউনুস আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহসান হাবিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সভায় শ্রমিক দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ আলহাজ্ব উদ্দিন যুবরাজ বলেন, “শ্রমিক সমাজের অধিকার আদায়ে শ্রমিক দলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমান প্রেক্ষাপটে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকা অত্যন্ত জরুরি। কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলকে আরও শক্তিশালী ও গতিশীল করার মাধ্যমে আমরা শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।”

তিনি তৃণমূল পর্যায় থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার উপর জোর দেন এবং সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে মোঃ ইউনুস আলী বলেন, “৩নং ওয়ার্ড শ্রমিক দল সবসময় শ্রমিকদের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আজকের এই প্রস্তুতি সভার মাধ্যমে আমরা ওয়ার্ড পর্যায়ে সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত করতে বদ্ধপরিকর। শ্রমিকদের যেকোনো সমস্যা সমাধানে আমরা সর্বদা সচেষ্ট থাকব।”

সঞ্চালক মোঃ আহসান হাবিব বলেন, শ্রমিক দলের নীতি ও আদর্শকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। আজকের এই সভা শ্রমিকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ শমসের আলী তালুকদার, সৈয়দ পাভেল রেজভী, আহ্বায়ক সদস্য মোঃ সোহেল রানা, হাবিবুর রহমান টুটুল,পৌর ২নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতি আরমান আলী খান, ১নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোঃ আবুল কাশেম,মোসাঃ শিমা শিকদার সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা সকলেই শ্রমিক দলের কার্যক্রমকে আরও দ্রুত গতিসম্পন্ন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং আগামী দিনে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সকলকে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সভা শেষে উপস্থিত সকলে শ্রমিক অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার শপথ গ্রহণ করেন।

চিরিরবন্দরে বজ্রপাতে বাবা-মায়ের সামনে শিশুর মৃত্যু

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ
চিরিরবন্দরে বজ্রপাতে বাবা-মায়ের সামনে শিশুর মৃত্যু

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় বাবা-মায়ের সামনেই বজ্রপাতে জনশ্রী রায় (১১) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২১ মে) আনুমানিক দুপুর দেড়টায় উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়নের মিত্রবাটি গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল ওয়াদুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত জনশ্রী রায় (১১) মিত্রবাটি গ্রামের মহাদেব চন্দ্র রায়ের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পিতা-মাতা ও ভাই-বোনসহ শিশু জনশ্রী রায় (১১) বাড়ির পাশের লিচু বাগানে অবস্থান করছিল। ওই সময় আকাশের বৃষ্টি শুরু হয় এবং বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে বজ্রপাতে শিশু জনশ্রী রায় (১১) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

উপজেলার আউলিয়াপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহিম জানান, “দুপুরে বৃষ্টি হচ্ছিল এবং বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এসময় শিশু জনশ্রী রায় (১১) বজ্রপাতে মারা যায়”।

কবিতা: হে সাহসী নারী

সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫, ১২:২১ পূর্বাহ্ণ
কবিতা: হে সাহসী নারী

হে সাহসী নারী
— রিয়াজুল হক সাগর

তুমি অকালে হারাতে বসেছিলে
অবহেলার দুয়ারে,
বদলাতে চেয়েছিলো এই সমাজের
হায়নার দল।
তুমি প্রতিবাদ করেছিলে তাই
তোমাকে দাবাতে পারেনি,
নারী তুমি সেই সাহসী নারী
ভয়কে করেছো অগাৎ জয়।
আজব তোমার চিত্রে অনেক কাহিনী
লেখা হয়েছিলো,
তুমি ভেঙ্গে করলে চুরমার এই সমাজে
অপশক্তিকে হার মানিয়ে দিলে।
সেই তুমি সাহসী নারী
কত দিন কেটে গেছে অবহেলায়,
অনাহারে চিৎকারে আর চোখের জলে
এখন তা আর হয় না তোমার প্রতিবাদে।

"> ">
কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিসভা অনুষ্ঠিত চিরিরবন্দরে বজ্রপাতে বাবা-মায়ের সামনে শিশুর মৃত্যু কবিতা: হে সাহসী নারী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে উপর অবৈধ হাট-বাজার উচ্ছেদের নামে চোর-পুলিশ খেলা ফুলছড়ির ৬ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ভুমি সেবায় ভোগান্তি কালিয়াকৈর পৌর শ্রমিক দলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত ভুরুঙ্গামারীতে খামারিদের মাঝে ছাগল ও ছাগলের ঘর বিতরণ অবিরাম বৃষ্টিতে বিভাগীয় নগরী রংপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত নন্দীগ্রামে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ফিরোজ কামাল ফারুক গ্রেপ্তার ডোমারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-১ জুলাই মঞ্চের ‘বিচার বহির্ভূত হত্যা বিরোধী প্রতিনিধি’ হলেন আশুলিয়ার আজিজ দেবীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে বিদেশি মদসহ যুবক আটক কালিয়াকৈরে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার বারহাট্টায় বাজারের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা উদ্বোধন করলেন ইউএনও বারহাট্টায় দীর্ঘ ১১ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির সম্মেলন চিরিরবন্দরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৫ উদযাপিত কালিয়াকৈরে বিএনপির লিফলেট ও বই বিতরণ ডোমারে স্কাউট ভবন নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ডোমারে সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিএনপির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত চিলাহাটিতে পৃথকভাবে বিএনপি ও জামাতের আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন  শহীদ ধীরাজ-মিজান স্মৃতি পাঠাগার ও মিলনায়তনের ত্রিবার্ষিক কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত শহীদ ধীরাজ-মিজান পাঠাগার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে ডোমারে সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান সহ গ্রেপ্তার-৫ সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার তুহিনের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় ডোমারবাসীর বর্ষবরণ ডোমারে কাব ক্যাম্পুরী বাস্তবায়ন বাবদ চেক হস্তান্তর ডোমারে ব্লাড ব্যাংক-জোড়াবাড়ীর পরীক্ষা সামগ্রী বিতরণ ডোমারে নববর্ষ উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ডোমারে ঈদ উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে আনসার-ভিডিপি সদস্যরা